Nurul islam Adam
Monday, July 12, 2021
মুফতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবিকে যেভাবে পাওয়া যেতে পারে।
Saturday, June 27, 2020
ব্যতিক্রম এক কোয়ারেন্টাইন
মানুষের সময় অতিবাহিত হয়, নির্ধারিত সময়ও শেষ হয় পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে।
.....................................................................................
শুধু একটা #Confirmation_Letter এর জন্য আমার একশত ষোল দিন অতিক্রান্ত হলো আজ।
(Bb)। #Covid-19 Virus, #Scabies, #Lockdown এসবের অজুহাতে UN এর Law ভেঙ্গে Cyprus এর ministry of interior থেকে দক্ষিন এশিয়া মহাদেশের Asylums Sekker দের প্রতি যে এক অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে তার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাম আমিসহ ১১৬ জন বাংলাদেশী।
(Cc)। এই পথ চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত - বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা, নাইজেরিয়া, গিনি, কংগো, কেমেরুন, জর্ডান, ফিলিস্তিন, সোমালিয়া,সিরিয়াসহ অন্তত ১২-১৪টি দেশের প্রায় ৯০০জন Migrants দের সাথে কখনো খাবারের লাইনে, কখনো Place of worship for Muslims, কখননো Christian places of worship, আবার কখনোবা খেলার মাঠে, দেখা হত।
আলাদা ধর্ম,বর্ণ,এবং ভিন্ন ভাষাভাষী হওয়াতে এখানকার Admin Staffদের পক্ষে সবাইকে কন্ট্রোল করা যখন অসম্ভব হয়ে পড়ে, তখন তারা সিদ্ধান্ত নিল প্রত্যেক Nationality থেকে একজন করে Representatives নির্বাচন করবে, যেমন কথা তেমন কাজ হল, সেদিন বাংলাদেশ থেকে সকলের সম্যতিতে আমারমত অযোগ্যকে তারা Representative হিসেবে বাচায় করল।
(Dd)। আমিও 🇧🇩 বাংলাদেশীদের সকলের মনের কথা, চাওয়া-পাওয়া গুলো Authority দের কাছে পৌঁছে দিতে সর্বাত্মক চেস্টা চালিয়েছি, 21 may- 2k20 তারিখ থেকে পুরোপুরি Lockdown শেষ হওয়ার পর Honorable Ministry of Interior এর ঘোষণা প্রতিদিন প্রত্যেক ন্যাশনালিটি থেকে ১০ জন করে রিলিজ প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে The Cyprus Mail. com কে জানিয়েছেন। এর পর থেকে তাদের রিলিজ প্রক্রিয়া শুরু হল ঠিকই, কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার কোন Asylum Sekker এর আওতাভুক্ত ছিলনা।
(Ee)। 8 June সকলের পরামর্শের ভিত্তিতে আমরা একটি শান্তিপূর্ন strike করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ৯ জুন রাতে 2 Hours এর একটা প্রোগ্রামে বাংলাদেশীদের থেকে ২০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে তাদেরকে আন্দোলনের সময় 72 Hours,ধরন Hunger Strike, নির্দেশনা দেওয়া হল। Strike মুলত সকাল ৮.০০ থেকে শুরু হলেও আমার লিখিত অভিযোগ এবং মানবিক প্রশ্নগুলো স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় পর্যন্ত পৌঁছাতে বেলা ১১.০০টা বেজে গেল।
.....................................................................................
আলহামদুলিল্লাহ ! মাত্র ৯ ঘন্টার মধ্যেই আমাদের
যৌক্তিক দাবীগুলো মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে ওরা। ১১ জুন থেকে দক্ষিন এশিয়ার আওতাভুক্ত সকলকেই ক্রমান্বয়ে রিলিজ দেওয়া শুরু করেছে।
(Ff)। ধন্যবাদ জানাতে চাই সুজন ভাই, শাহিন ভাই, আনোয়ার ভাই, আকাশ,বাপ্পি,নিজাম,আশিক ,রনি,রায়হানসহ যারা সিক্রেট-২০তে কাজ করে আন্দোলনটাকে সফল করেছন।
.....................................................................................
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রিয় আজহার ভাইয়ের তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তাকে,সাধুবাদ জানাই রিমন ভাইয়ের ধৈর্যশীল আচরণকে, সার্বিকসহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ আলম ভাই,মাহবুব ভাই, বুলবুল ভাইদের প্রতি।
সকলের আনুগত্যশীল আচরণ দেখে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজের অযোগ্যতা স্বীকার করে আপনাদের জন্য দোয়া করতাম।
.....................................................................................
আপনাদের মাঝে বিশ্বস্ততা,আন্তরিকতা, মায়া-মমতা, সফলতা, এ বিষয়গুলো স্থাপন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত আমার অবিভাবক সুলভ আচরণে যদি কেউ মনে কস্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন! বড়দের যতটুকু সম্মান করা দরকার ছিল, আর ছোটদের যতটুকু আদর, স্নেহ, ভালোবাসার প্রয়োজন ছিল তার সবটুকু আবেগ এবং বিবেকের সমন্নয় করে যুক্তির দাড়িপাল্লা দিয়ে মেপে মায়াভরা স্পর্শের শীতল পরশ দিয়েছি।
তারপরও -
ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে আপনাদের কাছে নিষ্কৃতি চাই, ভালোর জন্য চাই দোয়া। আপনাদের দোয়াই হোক আমার সম্মুখ প্রানে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
(Gg)। পাশাপাশি দুটো কথা। অধিকার আদায়ের সংগ্রামে, সুখে-দুঃখে একত্রে থাকবার আপ্রাণ চেষ্টা করবো, এইখানে কোনো নিষ্কৃতি নেই। বরং সময়ের প্রয়োজনে পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্তে আরও বেশি সক্রিয় হব, ইনশা আল্লাহ।
....................................................…..............................
Note: কর্ম ব্যস্ততার মাঝে যদি কখনো অবসর মিলে তাহলে #The_Camp_Life নামে গল্প- আকারে সুন্দর একটি বই লিখতে চেষ্টা করবো, ইনশা আল্লাহ! তখন আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে,আশা করছি পাশে থাকবেন।
Thank you so much Everyone for your Love & Support.
Monday, January 21, 2019
12 Years Challenge
দেখলাম সবাই ফেইসবুকে ১০ বছরের চ্যালেঞ্জ Upload দিচ্ছে সেই ধারাবাহিকতায় আমিও, কিন্তু আমি দিলাম একযুগ বা বারো (১২) বৎসর!
#12yearsChallenge !!!
"কি হয়ে কোত্থেকে শুরু হল সেটা খুব বড় কিছু না,
কি করে নিজেকে তৈরী করলে সেটা বড় কিছু। "
মনে হচ্ছে জীবনের অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। অনেক কিছু মেনে নিয়েছি বা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি। সুখেরা বা খুশিরা প্রতিনিয়ত আমার পেছন পেছন ছুটছে কিন্তু আমি এটাকে এড়িয়ে চলছি এখনো,নিজের সুখগুলো বিলিয়ে দিয়েছি অন্যের মাঝে, বিশেষ করে আমার নিজের সমাজে,এবং College, University তে অধ্যায়নরত অবস্থায় অন্যায়,অভিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নিজ কন্ঠকে উচ্চ করতে গিয়ে মানুষের ভালোবাসার পাশাপাশি অনেক কস্ট সয়ে নিয়েছি But হতাশ হয়নি। তবে এগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছি-
পৃথিবীটা অনেক সুন্দর তবে যন্ত্রনাগুলো নিদারুন।ভালোবাসা গুলো স্বার্থের জালে আবদ্ধ,আইনগুলো সবার জন্য সমান না,নীতি কথাগুলো শুধু জানানোর জন্য বলা হয়,আর বেশী করা হয় অভিনয় শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য!।
তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ঘুরে দাড়াবার, সিদ্ধান্ত নিতে হবে অবিচল হওয়ার, সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রতিবাদ করার। আর নয় মুখ লুকিয়ে চোখের অশ্রু বিসর্জন, আর নয় অন্যায় অত্যাচার সয়ে যন্ত্রনার সাগরে তর্জ-গর্জন।
So, fix your life, fix your target, fix your destination, just plan yourself!
Friday, January 11, 2019
বিদায়- ২০১৮
ফিরে দেখা-2k18
পাওয়া,নাপাওয়া,হাসি,কান্না, মান,অভিমান,ভূল সিদ্ধান্ত,যোজন, বিয়োজন, সফলতার অর্ধেক এ বছরটিকে ঘিরে।
সর্বপ্রথম শুকরিয়া আদায় করছি: - মহান রবের যিনি আরো একটি নতুন সূর্যদ্বয় দেখার সুযোগ দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ!
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি: - সকলের প্রতি,বিশেষ করে আমার স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্মানিত শিক্ষকগন সহ যারা inbox এ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন, এবং আপনাদের ভালোবাসার বহি:প্রকাশ আমার টাইম লাইনে যুক্ত করেছেন।
দু :খ প্রকাশ করছি: - তাদের প্রতি যাদের SMS কিংবা টাইম লাইনে করা পোস্ট এর উত্তর দিতে পারিনি।
যা হারিয়েছি: -
১। প্রিয় স্বদেশর মাটি ও মানুষের গন্ধ।
২। প্রানের প্রিয় কাফেলার ৮ বৎসরের পরিসমাপ্তি।
৩। বাংলাদেশে প্রায় ১৬ বছরের ছাত্রত্বের ইতি।
৪। মায়ের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ এর সুযোগ।
যা পেয়েছি: -
১। দেশের বাহিরে প্রথম আনন্দ ভ্রমণ। (ভারত সফর)
২। বিদেশের মাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগ।
৩। প্রতিকুল পরিবেশ,ও দুষনমুক্ত আবহাওয়া।
৪। হালাল কর্ম সংস্থানের ব্যাবস্থা ।
২০১৮ কে ঘিরে কিছু সমস্যা ও সম্ভাবনার মুখামুখি হতে হয়েছে নিন্মে এর শিরোনাম গুলো তুলে ধরলাম।
সমস্যা: -
১। মেজাজের ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারা।
২। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারা।
৩। মানুষকে অন্ধ বিশ্বাশ করে প্রতারণার শিকার হওয়া।
৪। বিবেকের চেয়ে আবেগকে বেশী মূল্য দিয়ে নিজ বুদ্ধিহীনতার পরিচয় দেওয়া।
সম্ভাবনা: -
১। নিজের ক্যারিয়ারকে আরোবেশী Developed করার জন্য বছরের প্রথম ৬ মাস আবহেলায় না কাটিয়ে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর যথেস্ট সুযোগ ছিল।
২। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ারমত হাতে পর্যাপ্ত সময় ছিল।
৩। বাংলাদেশের মাটিতেও ভালো কিছু করার সুযোগ ছিল।
২০১৮সালের বড় শিক্ষা: -
"কয়লা ধুলে ময়লা যায়না "
গত হয়ে যাওয়া ২০১৮ সালের সকল সমস্যাগুলোকে সম্ভাবনায় রুপ দিয়ে সামনে অগ্রসর হতে পারলে ২০১৯ হবে সাফলতার একটি মাইল ফলক ইনশাআল্লাহ!
সকলের কাছে দোয়ার দরখাস্ত।
মহান আল্লাহ আপনাদের ভালোবাসাগুলো কবুল করুক তার দ্বীনের জন্য।
বি.দ্রঃ -
জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবারের মত এবার ও প্রায় একবছর pending এ থাকা সকল Request গুলো Accept করে দিলাম আশা করছি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বিরক্ত করবেন না!
Monday, December 18, 2017
বিজয়ের ভাবনা -16Dec 2K17
বিজয়ের ৪৬তম বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও আজও কেন বাংলাদেশের সবুজ ভূখন্ডে ক্ষুধা,দারিদ্র,অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, শোষণ, নিপীড়ন, খুন, ঘুম, রাহাজানি,ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, জনজীবনের নিত্যসঙ্গী!? তার একটি মাত্র কারন ১৯৭১সালের পর আমাদের রাজনীতিতে দক্ষ,সচেতন,আদর্শিক,ও দেশ প্রেমিক, মেধাবীদের ক্ষমতার মসনদে বসতে না দেওয়া! আমরা জানি, জনগণই হল সকল ক্ষমতার উৎস।কিন্তু এই জনগণ আজ ঘুমিয়ে আছে বলে সবুজের বুকে লাল বৃত্তের পতাকাতে হানা দিয়েছে ভীনদেশী তস্কররা! ১৯৭১এর পরবর্তী সময় ৭৭ এর ফেব্রুয়ারিতে জাতি-বর্ণের বিভেদ ভূলে সচেতন মেধাবী ছাত্র সমাজ ৬জন টগবগে তরুণকে নিয়ে যে,মমতার সেতুবন্ধন তৈরী করেছিল,এ বন্ধন অটুট থাকলে সব সংকটে -দুর্বিপাকে আমরাই বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ। আগামীর সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন তরুন প্রজন্মের মেধাবীদের আদর্শীক রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে আবেগ ও বিবেকের ঐক্যদ্ধ প্রত্যয় ও প্র্যায়াশ। তাই আপনাদেরকে বলতে চাই আসুন, আর দেরী না করে যার যেটুকু শক্তি সামর্থ আছে তাই নিয়ে এ প্রয়াসে শামিল হওয়ার জন্য ছুটে যাই প্রেম ও পবিত্রতার নিশান উড়িয়ে। নিরব দর্শক না থেকে কঠিন বিপর্যয় হতে জাতিকে রক্ষা করার জন্য আপন অস্তিত্বের তাগিদেই সোচ্চার হই সত্যের স্বপক্ষে
Monday, January 30, 2017
সারপ্রাইজ
তবে আজ চিল চমকে যাওয়ার মত ভিন্নকিছু যেটি ওনি গতকাল গোপন রেখেছিলেন।wow ওনি একজন লেখক?
গতকাল Engr Abdur Rahim Uncle কে নিয়ে যে Statusএবং ব্লগটি চিল সেটাকে আরো update করে আপনাদের সাথে share করব ইনশাআল্লাহ।
So Everyone stay Connect with me please.
জেলা কুমিল্লা
কুমিল্লা জেলার মানুষ যে কারনে
গর্বিত।
ইতিহাস:
১. ব্রিটিশ গভর্নর ওয়ারেন
হেস্টিংস বাংলায় যখন জেলা
ব্যবস্থা চালু করে তখন ১৮ জেলার
একটি ছিল কুমিল্লা।
২. হাজার বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ
কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন
সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল।
খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা
জেলা হরিকেল অঞ্চলের
রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম
শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব
বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের
মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের
শাসনাধীনে ছিল। যার স্মৃতি চিহ্ন
এখনো কোটবাড়ি ও ময়নামতি
এলাকায় রয়ে গেছে।
৩. বিশাল আয়তনের কুমিল্লা থেকে
১৭৮১ সালে বৃহত্তর নোয়াখালী
এবং ১৯৮৪ সালে চাঁদপুর ও
ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলা কে পৃথক
করা হয়।
ঐতিহাসিক ঘটনা:
১.১৭৬৪ সালে ত্রিপুরার রাজার
বিরুদ্ধে শমসের গাজীর নেতৃত্বে
পরিচালিত কৃষক আন্দোলন এ
অঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
যা পরবর্তীতে ব্রিটিশবিরোধী
আন্দোলনের প্রেড়না যুগিয়েছিল।
২. সাম্প্রদায়িক দাংগার ঘটনাকে
কেন্দ্র করে ১৯২১ সালে কাজী নজরুল
ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মহাত্না
গান্ধী কুমিল্লা জেলায় বিচরন
করেন।
৩. ১৯৩১ সালের ১৪ ডিসেম্বর
ফয়জুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ের
দুই ছাত্রী সুনীতি চৌধুরী ও শান্তি
ঘোষ গুলি করে ম্যাজিস্ট্রেট
মিস্টার স্টিভেন্সকে হত্যা করে।
স্বাধীনতা আন্দোলনে কোন
নারীর অংশগ্রহণ সেবারই প্রথম ঘটে।
৪. ভাষা আন্দোলন , স্বাধীনতা যুদ্ধ
সহ অনেক আন্দোলন সংগ্রামে
অবদানের জন্য এ জেলা ইতিহাসে
ঠাই করে নিয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা :
১. উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার জন্য
কুমিল্লাকে প্রাচ্যের হংকং এর
সাথে তুলনা করা হয়। এ জেলাটি
দেশের তিন বৃহত্তম জেলা ঢাকা,
চট্রগ্রাম, সিলেটের মধ্যবর্তী ও
নিকটবর্তী হওয়ায় এর অর্থনৈতিক
গুরুত্ব অপরিসীম।
জাতীয় অর্থনীতিতে কুমিল্লার
অবদান:
১. প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ জেলার
জ্বালানি গ্যাসের উপর ভর করেই
ঢাকা ও চট্রগ্রাম অঞ্চলে ভারী
শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। এ
জেলার ৬ টি গ্যাস ক্ষেত্রের মধ্যে
তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র থেকে ঢাকা
অঞ্চলে এবং বাখরাবাদ গ্যাস
ক্ষেত্র থেকে চট্রগ্রামে গ্যাস
সরবরাহ করে দেশের অর্থনীতিকে
টিকিয়ে রাখা হয়েছে।
২. যে সড়কটি একদিন বন্ধ থাকলে
দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যায়
সেই লাইফ লাইন নামে খ্যাত ঢাকা
চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিংহভাগ এ
জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে।
৩. তাছারা কুমিল্লা জেলার ঢাকা
চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশ ঘেষে ঘড়ে
উঠেছে অসংখ্য শিল্পকারখানা
রয়েছে কুমিল্লা ইপিজেট ও
কৃষিবান্ধব অর্থনীতি।
৪. কুমিল্লা জেলা থেকে আক্তার
হামিদ খানের হাত ধরেই এদেশে
সমবায় সমিতি, ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম ও
ডিপ টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার
করে শুষ্ক মৌসুমে ইরি চাষের প্রচলন
হয়েছিল যা পরবর্তীতে অভাব অনটন
লাঘবের দেশের রোল মডেল হয়ে
দাড়িয়েছে।
৫. বিদেশে সবচেয়ে বেশি
শ্রমশক্তি রপ্তানি হয় কুমিল্লা
জেলা থেকে এবং দেশে সবচেয়ে
বেশি রেমিটেন্স পাঠায় কুমিল্লা
জেলার মানুষ।
শিক্ষা ব্যবস্থা:
১. দেশের ২য় শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা
শিক্ষাবোর্ডের অধীনেই এক সময়
সমগ্র চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের
শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিত।
বর্তমানে এ জেলার শিক্ষার হার
৬০.৬%।
২. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, আর্মি
সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
ইউনিভারসিটি ও মেডিকেল
কলেজ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ,
ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা
ক্যাডেট কলেজ সহ এমন অসংখ্য
স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে দেশের
শিক্ষা ব্যবস্থায় অগ্রণী ভূমিকা
পালন করে যাচ্ছে।
জনসংখ্যা : ৬০ লাখ জনসংখ্যা
অধ্যুষিত কুমিল্লা জেলা ঢাকা ও
চট্রগ্রামের পর দেশের ৩য় জনবসতিপূর্ণ
অঞ্চল। এ জেলার প্রতি
বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১৪৫৩ জন
মানুষ।
বিখ্যাত ব্যক্তি:
কুমিল্লা জেলার বিখ্যাত
ব্যক্তিদের নাম লিখতে গেলে
আমার হাত ধরে আসবে হয়তো লেখা
শেষ হবেনা তাই আমি শুধু আগের
প্রজন্মের গুটি কয়েক ব্যক্তির নাম
লিখে দিচ্ছি।
★ মহাস্থবির শীলভদ্র (৫২৯-৬৫৪) -
বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়
নালন্দা বিহারের প্রধান ★ সাবেক
রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তাক ও
সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর
★বুদ্ধদেব বসু ★ছান্দসিক কবি আব্দুল
কাদির ★উপমহাদেশের প্রখ্যাত
শিল্পি শচীন দেব বর্মন
★ধীরেন্দ্রনাথ দও ★ রাহুল দেব বর্মন
★ মেজর গনি ★আক্তার হামিদ খান
সহ কুমিল্লার অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তির
মুখ দেখেছে বাংলাদেশ।
পর্যটন :
কুমিল্লাতে বহুসংখ্যক পর্যটন আকর্ষন
রয়েছে। কুমিল্লার লালমাই
ময়নামতি পাহাড়ে একটি সমৃদ্ধ
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে।
এখানে রয়েছে শালবন বিহার,
কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া,
ইটাখোলা মুড়া, সতের রত্নমুড়া,
রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ
বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের
প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি। এসব
বিহার, মুড়া ও প্রাসাদ থেকে
বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে যা
ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত
রয়েছে।
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট:
বাংলাদেশের প্রথম ক্যান্টনমেন্ট
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট। ১ম
বিশ্বযুদ্ধের পর এই এলাকার উপর
সামরিক চেইন বজায় রাখার জন্য
ব্রিটিশ ক্রাউন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত
হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ
ভারতীয় সেনাবাহিনী এটা
ব্যবহার করে।১৯৭১ সালের
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বহু অস্ত্র
এখানে রক্ষিত ছিল। এবং মুক্তিযুদ্ধ
চলাকালীন অনেক দিক নির্দেশনা
এই ক্যান্টনমেন্ট থেকেই দেয়া
হতো।
কুমিল্লার বঞ্চনা :
কুমিল্লা যেমন সমৃদ্ধ অঞ্চলের নাম
তেমন বঞ্চিত অঞ্চলের নাম বটে এই
বঞ্চনা শুরু ১৯৫৬ সাল থেকে। ঐ সময়েই
বর্তমান চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা হওয়ার সব প্রস্তাবনা চূরান্ত
হয়ে গিয়েছিলো কিন্তু ঘটন
অঘটনের মধ্যে দিয়ে এটি আর
কুমিল্লা হয়ে উঠেনি। বর্তমানে
চট্রগ্রামের ভাটিয়ারীতে অবস্থিত
মিলিটারি একাডেমী কুমিল্লায়
ছিল কিন্তু আশির দশকে কুমিল্লার
মানুষের সেক্রিফাইস মাইন্ডের
সুযোগ নিয়ে এটি চট্রগ্রামে
সরিয়ে নেয়া হয়। বর্তমানেও আমরা
কিছু উন্নয়ন বঞ্চনার স্বীকার যেমন
একটি আন্তর্জাতিক মানের
স্টেডিয়াম, একটি বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয় সহ কুমিল্লার
দাউদকান্দি, চান্দিনা,
ক্যান্টনমেন্ট হয়ে ঢাকা টু কুমিল্লা
রেল সংযোগ স্থাপন যা এই অঞ্চলের
মানুষের প্রাণের দাবি।